যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই গ্র্যান্টস প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের স্বাগত জানাচ্ছে আমেরিকান সেন্টার

 

ঢাকা, ৭ই নভেম্বর — বাংলাদেশী স্টেট অ্যালামনাইগণ চলতি ২০১৩ সালে তৃতীয় বছরের মত গ্লোবাল অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ড (এইআইএফ) প্রতিযোগিতায় অনুদানের জন্য আবেদন করে। ১১৯টি দেশের ৬৮১টি প্রস্তাবের মধ্যে বাংলাদেশের দু’টি প্রস্তাব নির্বাচিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশ এ বছর একাধিক অনুদানের প্রাপ্ত চারটি দেশের একটিতে পরিণত হয়েছে।

এইআইএফ পুরস্কার ছাড়াও দি আমেরিকান সেন্টার আনন্দের সাথে- আমেরিকান সেন্টার অ্যালামনাই স্মল গ্র্যান্টস কমপিটিশন – ২০১৩ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করছে।

নিকট প্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশীয়া (এনইএসএ) আন্ডার গ্রাজুয়েট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর অ্যালামনাস আবু সাহেদ ইমন তার প্রকল্প “ফিল্ম ফর ফ্রিডম” এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় ২০ জন উৎসাহী তরুন চিত্র নির্মাতার জন্য নিবিড় চিত্র নির্মাণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এসব চিত্র নির্মাতা বাংলাদেশে স্বাধীনতা এবং নতুন গণমাধ্যম বিষয়ে নিজ গবেষণা এবং পরিকল্পনার উন্নয়ন করবেন।

ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রো-স্কলারশীপ প্রোগ্রাম (ইএএমপি) অ্যালামনাস মুহাম্মদ ফেরদৌসীর প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিশ জন তরুনকে জরুরী প্রাথমিক সাড়াদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এতে নারী এবং অ্যালামনাইদের ওপর গুরত্ব প্রদান করা হবে।

হুবার্ট এইচ. হামফ্রে (এইচএইচএইচ)ফেলোসিপ অ্যালামনাস আঙ্গুর নাহার মন্টি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের নৈতিকতা, তথ্য অধিকার, নতুন গণমাধ্যম এবং পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ওপর ২০ জন নারী সাংবাদিককে প্রণোদনা এবং শিক্ষামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস প্রতি বছর বিবিধ ক্ষেত্র ও পেশার বিভিন্ন স্তরের শত শত বাংলাদেশীদের যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতর অর্থায়নপুষ্ট বিনিময় কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশে স্টেট অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের, পেশার এবং অঞ্চলের ২০০০ ব্যক্তি অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনের নাম – যেমন শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডাসশিপ প্রোগ্রামে (আইভিএলপি)অংশ নেন। হুমায়ুন আহমেদ ১৯৯০ সালে ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে যোগদান করেন। মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৬৫ সালে ফুলব্রাইট স্টুডেন্ট ছিলেন। সংক্ষেপে বলা যায়, বাংলাদেশের স্টেট অ্যালামনাইগণ নিজ দেশ এবং বিশ্বে অনপনেয় চিহ্ন এঁকে দিয়েছে।

আইভিএলপি অ্যালামনাস নাজমুল আলম এবং স্টাডি অব দি ইউএস ইন্সটিটিউট (এসইউএসআই) অ্যালামনাস নাতাশা কবিরকে তাদের যথাক্রমে “কনজারভেশন থ্রু ইকো-টুরিজম” এবং “আইটি এডুকেশন ফর দি ডিফারেন্টলি অ্যাবলেড” প্রকল্পের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে। নাজমুল আলমের প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে তরুণসমাজ সক্রিয়করণ, হস্তশিল্প ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের জীবিকা আয়ের সুযোগ দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের সংরক্ষণ। নাতাশা কবিরের প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সক্ষম শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করা হবে।

বিগত চার দশকে বাংলাদেশের স্টেট অ্যালামনাইগণ বাংলাদেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিকারী প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়েছে। দি আমেরিকান সেন্টারের বিনিময় কর্মসূচি এবং অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক-এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজ এবং দুতাবাসের ওয়েবসাইট

http://dhaka.usembassy.gov/educational_cultural_exchanges.html. দেখুন।

Source: U.S. Embassy Press Release