লিভার প্রতিস্থাপনে অ্যাপোলোর ১৫ বছর পূর্তি

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ভারতের অ্যাপোলো ট্রান্সপ্লান্ট ইনস্টিটিউট চলতি বছরের নভেম্বরে সফলভাবে প্রথম লিভার প্রতিস্থাপনের দেড় দশকের মাইলফলক অর্জন করছে। এটি অ্যাপোলো হসপিটাল গ্র“পের একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে এ গ্র“পটি প্রথম কর্পোরেট হসপিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিল। এর ১৫ বছর পর ১৯৯৮ সালে তারা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের মত জটিল কাজটি সফলতার সাথে সম্পন্ন করে উপমহাদেশে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

অ্যাপোলো বিপুল পরিমাণ অঙ্গ-প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাস্ততম অঙ্গ প্রতিস্থাপন কর্মসূচি হিসেবে স্বীকৃত। কেবল গত বছরই সেখানে ১২০০ অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৬০ টি লিভার ও ৮৪০টি কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সেখানে।

দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্র“প মেডিক্যাল ডিরেক্টর, পেডিয়াট্রিক গেস্ট্রো এনট্রোলজিস্ট বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং সফলভাবে প্রথম লিভার প্রতিস্থাপন দলের সদস্য ডা. অনুপম সিবাল বলেন, ১৯৯৮ সালে যখন লিভার প্রতিস্থাপন কর্মসূচি শুরু করি তখন এই পরিবর্তন ও ভবিষ্যতে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার বিষয়টি আমরা খুব সামান্যই অনুধাবন করতে পেরেছিলাম। পশ্চিমে যা খরচ হয়, তারচেয়ে অনেক কম খরচে এই অঞ্চলে আমরা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে বিশ্বমানের অবকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

বিশ্বের ৪৪টিরও বেশি দেশে আমাদের রোগী ও তাদের পরিবার, যারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও কৃতজ্ঞতা রয়েছে।

ডা. সিবাল বলেন, বর্তমানে অ্যাপোলো বহুমুখী অঙ্গ প্রতিস্থাপন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন আমরা কমপক্ষে ৩টি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করি। এ পর্যন্ত মোট ১৫০০ রোগীর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া বিশ্বের সবচেয়ে মানসম্পন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন কাজের মর্যাদা লাভ করেছে।

১৫ তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে অ্যাপোলো গ্র“প বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতে প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগী সঞ্জয় কান্দাসামিকে অভিনন্দিত করার পরিকল্পনা করেছে। সঞ্জয় ১৮ মাস বয়সে ১৯৯৮ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সফলভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করান। বর্তমানে তরুণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের মাধ্যমে এই

কর্মসূচির সফলতার বিজয় ঘোষণা করছেন। সঞ্জয় একজন ডাক্তার হওয়ার আশা করেন, যাতে করে তিনি প্রয়োজনে অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারেন।