অংশীজনদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৪ হবে সময়োপযোগী আইন : টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৪ হবে সময়োপযোগী, উদার, নাগরিক কেন্দ্রীক, উদ্ভাবন, গবেষণা ও ব্যবসা বান্ধব।

তিনি এই আইনটি  আরও  কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ‌্যে সরকার, ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া  ও সাংবাদিকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ৭ থেকে ৯ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন।

কমিটি ৭ দিনের মধ‌্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৪ এর প্রস্তাবিত খসড়াটি যাচাই বাছাই করে সুপারিশ তৈরি করবে। সে আলোকে প্রয়োজনে প্রস্তাবিত খসড়াটি  পরিমার্জন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ (জুন ৫, ২০২৪) রাজধানীর  বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব (এসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ) এর  সহযোগিতায়  টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ)   আয়োজিত  গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বলে এক তথ্যবিবরণীতে জানান  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম. শেফায়েত হোসেন.

 জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রযুক্তি রপ্তানি আয় ২বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

দেশে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব‌্যবহার করছে। দেশে ১৯ কোটি মোবাইল সীম ব‌্যবহৃত হচ্ছে। প্রযুক্তি খাতে ২ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরেই ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল সময়ে দেশে তিনটি মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। ভ‌্যি -স‌্যাটের মাধ‌্যমে ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে  ফোর জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ জি চালু করা হয়। তিনি বলেন, আজকের আলোচনায় অংশীজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করতে অবদান রাখবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন‌্য সর্বোপরি দেশ ও দেশের মানুষের কল‌্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  সরকার সম্ভাব‌্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে  বিটিআরসির চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ, এমটবের সভাপতি ইয়াসির আজমানসহ দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী, শিক্ষাবিদ, পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল হক এবং মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার, সাহেদ আলম।

আইনের খসড়া নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালন করেন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের  সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শহীদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমদাদুল হক, ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইমুম রেজা তালুকদার প্রমূখ।