নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় শীর্ষক বিডব্লিউসিসিআইএর কর্মশালা

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর,  প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই)এর উদ্যোগে ইউএসএইড-প্রদীপ এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অদ্য ১৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ  নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক নারী উদ্যোক্তা সমন্ময়ে কর্মশালা  অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বাঞ্চল ভবন ডায়লগ সেন্টার, খুলনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিডব্লিউসিসিআই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট জনাব সেলিমা আহ্মাদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিডব্লিউসিসিআইএর খুলনা বিভাগের প্রধান শামীমা সুলতানা শীলু ।
বিডব্লিউসিসিআই খুলনা বিভাগের প্রধান শামীমা সুলতানা শীলু তিনি তার বক্তব্যে বলেন গত কয়েক দশক থেকে নারীদের ব্যবসা কাজে অধিক অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে নতুন মাত্রা সংযোজিত হয়েছে এবং নারী উদ্যোক্তারা বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু নারীরা অর্থনৈতিক কাঠামোতে এখনো শক্ত ভীত তৈরী করতে পারেনি এজন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক নীতিমালার অভাব সহ নানাবিধ কারণ রয়েছে তিনি বলেন। তিনি বিডব্লিউসিসিআই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট জনাব সেলিমা আহ্মাদ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একজন উত্তম আদর্শ উল্লেখ করে সকলকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ও সফল ভাবে অংশগ্রহনের জন্য আহ্বান জানান।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব সৈয়দ সুলতান চাঁদ প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত  নারী উদ্যোক্তাদের অর্থে প্রবেশগম্যতায় ও পণ্য বাজারজাতকরণে  প্রতিবন্ধকতা  ও উত্তরণের উপায় সমূহ শীর্ষক উল্লেখযোগ্য ফাইন্ডিংস সমূহ উপস্থাপন করেন ।
মুক্ত আলোচনায় আগত নারী উদ্যোক্তাগন স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করেন এবং নারী উদ্যোক্তাদের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ বিষয়ে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা উঠে আসে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডব্লিউসিসিআই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট জনাব সেলিমা আহ্মাদ বলেন যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। সুতরাং একটি গতিশীল এবং স্থায়িত্বশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমে এ অর্ধেক জনসংখ্যার সক্রিয় অংশগ্রহণ অবশ্যই অনস্বীকার্য। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে মূলধারার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বাইরে রেখে কোন ভাবেই দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি ও জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন জরুরি । আর এর বাস্তবায়নের জন্য চাই সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা। চাই প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। সকল পর্যায় থেকে আমরা সবাই মিলে যদি সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসি, নারীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সহায়ক নীতি পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারি তাহলে আমাদের বিশ্বাস, আমরা আমাদের অর্ধেক জনসংখ্যার অমিত সুপ্ত সম্ভাবনাকে প্রকৃত অর্থেই জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হবো। তবে সবার আগে প্রয়োজন নিজেদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করা। আমরা আশা করি আমাদের দেশের নারীরা ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসবে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের উপযোগী করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য নিজেদের সক্ষম করে তুলবে। সেই সাথে তিনি নারী উদ্যোক্তাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের সাথে বাজার স্থান প্রাপ্যতার জন্য কার্যকর ভাবে যোগাযোগ করতে বলেন। পরিশেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আমাদের সবার সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে আমরা একটি সম্মৃদ্ধ-স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবো।
কর্মশালার সমাপনি বক্তব্যে  বিডব্লিউসিসিআই খুলনা বিভাগের সম্পাদক জনাব লুৎফুন হক পিয়া বিডব্লিউসিসিআই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট জনাব সেলিমা আহ্মাদকে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিক হয়ে নিরলশ ও অব্যাহত ভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। পরিশেষে, নারী উদ্যোক্তাগন দেশের অর্থনীতিতে আরো বেশী ভ’মিকা রাখবেন মর্মে তিনি প্রত্যাশা করেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।