নৌযান সমুদ্রজয়ের (পূর্বপরিচিতি ইউএসসিজি কাটার জারভিস) আগমন

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — বিএনএস সমুদ্রজয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরের নতুন সদস্য আজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড কাটার জারভিস নামে পরিচিত ৩৭৮ ফুট দীর্ঘ শক্তিশালী এই নৌযানটি ১৯৭২ সালে হাওয়াইতে মোতায়েন ছিলো এবং এখন এটি বৃহত্তম নৌযান হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে। এক্সেস ডিফেন্স আর্টিকেলস্ কর্মসূচির আওতায় ২১শে মে, ২০১৩ তারিখে এই নৌযান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশিক্ষণ ও নতুন উপকরণ স্থাপনের নিবিড় কর্মসূচির পর ১৬৭জন নাবিকবিশিষ্ট এই যানটি ছয় সপ্তাহে প্রশান্ত মহাসাগর সফলতার সংগে পাড়ি দিয়েছে। ফিলিপিনসের দুর্যোগে সাড়া দিতে গিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যানটির এই যাত্রা সদ্ব্যবহার করে ৪০ টন পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী তুলে ৩০শে নভেম্বর ম্যানিলায় সেগুলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য জাতির স্বার্থ এগিয়ে নিয়ে যেতে ও বঙ্গোপসাগরে বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রদানে যানটি নৌবাহিনীকে কয়েক দশকব্যাপী নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করতে পারবে।
এদেশের সমুদ্রসীমার সম্পদগুলো রক্ষার জন্য দেশের সামর্থ্য গড়ে তুলতে আমেরিকা বাংলাদেশের নির্ভরশীল অংশীদার। এই অংশীদারিত্বের সাফল্য আরো পরিষ্কার হয়ে ওঠে যখন আমরা দেখি উপকূলবর্তী সমুদ্র এলাকা ও বন্দর এলাকায় ডাকাতির পরিমান দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে, সমুদ্রসীমা সংশ্লিষ্ট বীমার হার এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে এবং পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় অপহৃত জেলেদের উদ্ধারকাজেও সাফল্য দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ তার সমুদ্রসীমা রক্ষার জন্য সামর্থ্য বৃদ্ধি করলে সবার লাভ হয়। আমেরিকার লাভ হয় কারণ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস আর এই পণ্যগুলো সমুদ্রপথে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশী সমুদ্রসীমা আরো নিরাপদ হওয়ায় বঙ্গোপসাগর আরো নিরাপদ হয়ে ওঠে এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের লাভ হয় কারণ বিশ্বের সংগে বাংলাদেশকে সংযোগকারী পথ আরো নিরাপদ হয়ে ওঠে।