বিএনপি প্রেস ব্রিফিং

ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, (nsnewswire)–বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা এবং সরকারের নানা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জুলম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার, অগ্নিসংযোগ, বাসায় বাসায় হামলার প্রতিবাদে ৭১ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচির আজ তৃতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আগামীকাল ভোর ৫ টার সময় ৭১ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে।

এতদিন আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম সেবাদাস, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে যেটি ক্রমশ: প্রতীয়মান হচ্ছে যে, আসলে এই নির্বাচন কমিশন সরকারের ক্রীতদাস। তফশীল ঘোষনা করে সারাদেশে সহিংসতার অগ্নিপ্রজ্জ্বলন করে নির্বাচন কমিশন সরকারের বাঁশীতেই ফুঁ দিচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া কখনোই সম্ভব হতে পারেনা।

আওয়ামী লীগের ফরমান বাস্তবায়নকারি এই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। বিরোধী দল ও জোটের সাথে সমঝোতার পথ বন্ধ করে দিয়ে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলাকেই উস্কে দিলেন নির্বাচন কমিশন ।

সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ,

নির্বাচনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা সংবিধানের কথা বলেন। তারা নি:সন্দেহে পঞ্চদশ সংশোধনীর সংযুক্ত সংবিধানের কথা বলছেন, যার মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করা হয়। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানকে জনগণের ‘এমবডিমেন্ট অব দি উইল’ বা অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী সংযোজন করে সংবিধান এখন আর জনগণের অভিপ্রায় নয়, এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর ‘এমবডিমেন্ট অব দি উইল’ বা অভিপ্রায়ে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবক্রমে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ২১ জুলাই ২০১০ সালে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারপার্সন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারপার্সন করে মহাজোটের অংশীদারদের মধ্য থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২৭ টি বৈঠক করে এবং তিনজন প্রধান বিচারপতি, দশজন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবি, আওয়ামী লীগসহ দেশের ৬ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি (যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির এরশাদও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন), ১৮ জন বুদ্ধিজীবি, ১৮ জন সম্পাদক এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সদস্যদেরও মতামত গ্রহন করে। এর মধ্যে প্রায় সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে ঐক্যমত হয় উক্ত বিশেষ কমিটির ২৯ মার্চ ২০১১ তারিখের ১৪তম সভায়। এ বিষয়ে শাসকদলের কয়েকজন নেতার বক্তব্য প্রনিধানযোগ্য। তোফায়েল আহমেদ বলেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মেজর কোন কিছুতে হাত দেয়া আমাদের উচিৎ হবেনা। আমির হোসেন আমু বলেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করলে কম্লিকেশন এ্যারাইজ করবে। আব্দুল মতিন খসরু বলেন-

আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেটি আছে সেটাই থাকুক। রাশেদ খান মেনন বলেন-মাননীয় সদস্য আপনি যেটি বললেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পর্যন্ত ঠিক আছে। শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন-আমিও একমত যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে আমাদের কোন পরিবর্তন এ মূহুর্তে প্রয়োজন নেই। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন-‘ইন্সপাইট অব অল দি লিমিটেশন’ এটাকে রেখেই আগানো ভাল, এটার ওপরেই একটি ঐক্যমত্যে আমরা যাই।

কিন্তু আজ অদৃষ্টের পরিহাস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে গিয়ে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ দলীয় সরকারের অধীনে মন্ত্রী হয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের উচ্চস্বরে সানাই বাজিয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশকে অরাজকতার অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য তারা এখন ভিন্নপথ অবলম্বন করেছেন।

বন্ধুরা,

নির্বাচন তফশীল ঘোষনার সাথে সাথে জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। রাজপথে জনগণ নেমে এসেছে, পথে পথে সংগ্রামী জনতা দূর্ভেদ্য অবরোধ গড়ে তুলেছে। সরকার তার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য দমন পীড়ণের এহেন পন্থা নাই যা তারা ব্যবহার করেনি। দেশের প্রতিবাদমূখর উত্তাল পরিস্থিতিতে সরকার সংবিধান রক্ষার নামে যে বিভৎস নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে সেটি ইতিহাসের পাতায় আর একটি কালো অধ্যায় হিসেবে সংযুক্ত হবে।

সংবিধানে ১, ২, ৩ ও ৪ টি সংশোধনী আওয়ামী সরকারই আনয়ন করেছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর আগেও সংবিধান ছিল, অথচ এরাই পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানে সংযোজন করেছেন। সুতরাং সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন করার প্রস্তুতি মূলত: আর একটি বাকশাল করারই প্রচেষ্টা। আর এ জন্যই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে যে নির্দয় নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে দমন করতে সরকার এক মরণঘাতী কর্মসূচি চালাচ্ছে সেটিতে আজ বিশ্ববিবেক শিহরিত হয়ে উঠেছে।

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীগুলোর খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলের মিটিং মিছিলে গুলি ছুঁড়ে শুটিং প্র্যাকটিস করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নেতা-কর্মীর রক্ত ঝরানো হচ্ছে। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে কোন জায়গা নেই আহতদের চিকিৎসার জন্য।

দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জখম, মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার করে সরকার নিশীত রাতের কবরের নিস্তব্ধতা বজায় রাখতে চাইছে। ক্ষমতাসীন মহাজোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণসর্বস্ব একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্যই সরকার অসাংবিধানিক, বেআইনী ও নিষ্ঠুরতার পথেই এগুচ্ছে।

নির্বাচনকালীন সরকার যার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমান সংকট ও অচলাবস্থা নিরসন না করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে।

সংগ্রামী সাংবাদিক বন্ধুরা,

নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহনে সরকারের অনাগ্রহের কারন হচ্ছে-তাদের গণবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিভিন্ন সংস্থা এবং গণমাধ্যমের জনমত জরিপে সরকারের জনপ্রিয়তা তলানীতে এসে ঠেকেছে। মূলত: তাদের জনসমর্থনের ধ্বস নামার কারনেই ক্ষমতাকে আঁকড়ে থাকতে বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়ণের ওপর নির্ভর করছে সরকার।

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

সরকারের উদ্দেশ্যে আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে রক্তক্ষয় ও বিপর্যয় ঘটানোর পথ থেকে সরে আসুন। দেশব্যাপী নিজেদের লোক দিয়ে নাশকতা বন্ধ করুন। সাধারণ মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিন। আপনার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতারের নামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অসদাচরণ ও অসম্মানজনক আচরণ করছে।

আমরা দ্বিধাহীন কন্ঠে বলতে চাই, আমরা নিজেরা হাড়হিম করা অনেক নির্যাতন সয়েছি এবং সহ্য করে যাচ্ছি। কিন্তু বাড়ির শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক কোন ব্যবহার হলে জীবনপণ রেখে সেটি প্রতিহত এবং প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।

বন্ধুরা,

আমরা নির্মম অত্যাচার এবং কুৎসিত চক্রান্তের বিরুদ্ধে একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকারের আন্দোলনে যুক্ত আছি। আমরা একজন ব্যক্তির ইচ্ছাপূরণের বাইসকোপ হিসেবে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার সন্ত্রাসবাদের অন্ধ গলিতে পথ হারিয়ে ফেলেছে। এদের কোন আইনী বৈধতা নেই। অবৈধতার অশক্ত শরীরের দেহভারে এই সরকার নুইয়ে পড়েছে।

এই সরকারের ভূমিতলে শয়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চলমান আন্দোলনের গতিবেগ এখন যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে সেখানে সরকারের বিদায়ঘন্টা বেজে গেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট দুর্গম গিরিকান্তার এবং দুস্তর পারাবার অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

চট্রগ্রাম মহানগরঃ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্র্রগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী-এর বাসভবন পুলিশ তল-াসীর নামে তান্ডব চালায়।

* অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ আকসি¥ক হামলা চালিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক স¤ক্সাদক গোলাম আকবর খন্দকার, যুবদল কেন্দ্রীয় সদস্য ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,স্বেচছাবেক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক স¤ক্সাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা কে আলমসহ ২২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ আহত করে।

বরিশালঃ বিএনপির সাংগঠনিক স¤ক্সাদক ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ মজিবুর রহমান সরোয়ার এমপি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এমপি, সাধারণ স¤ক্সাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ ৩০০ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

খুলনা ঃ আজও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক স¤ক্সাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ স¤ক্সাদক সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নুরুল ইসলাম মনিসহ ৬০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করে।

গতরাতে বিএনপি‘র ১০ জন নেতাকর্মীকে ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে।

ঢাকা মহানগরঃ

* ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল সাধারণ স¤ক্সাদক এস এম জাহাঙ্গির এর নামে ও উত্তরা ও বিমান বন্দর থানায় দুটি দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছে।

পল্টন ঃ অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় স্টেডিয়াম এলাকা থেকে বিএনপি কর্মী এমরান, অলি, জহিরুল, আলতাফ হোসেন, যুব দল নেতা রাজিবসহ ৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

সবুজবাগঃ কৃষক দল নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে পুলিশ।

খিলগাঁওঃ স্বেচছাসেবক দল নেতা দীন মোহাম্মদ দিনুসহ ৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মোহাম্মদপুর ঃ শ্রমিক দল নেতা সিরাজুল হকসহ ৪ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

উত্তরা ঃ যুবদল নেতা সিহাব ও আলআমিনকে ভ্রাম্যমান আদালত ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছে।

গুলশানঃ থানা যুবদল নেতা আমিরসহ ২ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

পল-বী ঃ যুবদল নেতা রোকন মিয়া, মোঃ আলী, আবু বকর, প্রিন্স, রিফাত, মনির, সফিক, রতন, টিটু, মো¯ফা, রুবেলসহ ২১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

রামপুরাঃ হাজীপাড়ায় পুলিশ যুবদল নেতা হাফিজসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

মুগদা ঃ থানা যুবদল নেতা বাবুসহ ৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

কুমিল-াঃ বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ গণ-গ্রেফতার চালাচ্ছে।

লাকসাম ঃ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু, পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ, বিএনপি নেতা বাচচু, শ্রমিক দল নেতা সেলিমসহ ২১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ব্রাম্মনবাড়ীয়াঃ আশুগঞ্জে যুবদল নেতা মাহেবী হাসান রানা, তফসীরুল ইসলাম তুষার, ছাত্রদল নেতা সুমন, নুরু মিয়সহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা নং-২৭৬/২৮।

শরিয়তপুর ঃ ভদেশ্বর এলাকায় গতকাল রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে পুলিশ হানা দিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীদের থানায় নিয়ে নির্যাতন চালায়।

সদর উপজেলায় ছাত্রদল নেতা সুমনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাÍকভাবে আহত করে।

নড়িয়া উপজেলায় যুবদল নেতা নিক্সন খান, আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা জয়নাল গোরাবীসহ ৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

চট্র্রগ্রাম উত্তরঃ সীতাকুন্ডে গতকাল গভীর রাতে স্থানীয় এমপি কাশেম মাস্টারের ছেলে নোমানের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবরোধ পালনকারীদের ওপর হামলা চালায়, এতে যুবদল নেতা রোকন মেম্বার, ছাত্রদল নেতা আদনানসহ ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আজ অবরোধ পালনকালে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে ১৬ জনের অধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

মুন্সিগঞ্জঃ গতরাতে পৌনে নয়টায় সদর থানার রামপাল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ স¤ক্সাদক আবুল হোসেন আবুলকে সাদা পোষাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে র‌্যাব-১১ লেখা গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি এ বিষয়ে কিছু জানেনা বলে জানান।

লৌহজং উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইদুর রহমান সোহাগ, শ্রমিক দল নেতা শামিমসহ ৫ জনের অধিক নেতকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।

টংগীবাড়ী উপজেলায় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান বেপারী, পান্না শেখসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ৯ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।

ফেনীঃ মিছিলে পুলিশ-র‌্যাবের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডাররা গুলিবর্ষণ করে যুবদল নেতা নুরুল আলম, রুবেল, ছাত্রদল তো মোশাররফসহ ৬ জনকে আহত করে।

রংপুরঃ পীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আবদুল হান্নান, সাধারণ স¤ক্সাদক শাহজাহান মাস্টার, ছাত্রদল নেতা হাবিব, শাওন, হানিফ, মিথু, পলাশ, সজল, ছাত্রদল নেতা পি›ট্টুসহ ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বিএনপি নেতা সাইফুল, স্বেচছাসেবক দল নেতা নুর মন্ডলসহ ১১ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।

কুড়িগ্রামঃ যুবদল নেতা আরিফ, সুমন, হামিদসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

টাংগাইলঃ গোপালপুরে পুলিশ হামলা চালিয়ে যুবদল নেতা সাইদুলকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে । এ হামলায় আরো ১৭ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

মির্জাপুরে বিএনপি নেতা সোনা মিয়া, যুবদল নেতা পাপন মৃধা, শামীম, মিজুসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

কালীহাতিঃ ছাত্রদল নেতা আরিফ, সুজন, সাদ্দাম, মাসুদ,ইয়াসিনসহ ৯ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

বরগুনাঃ অবরোধ পালনকালে ওলামা দল নেতা মহিউল-াহসহ ৩ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয় । এছাড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ স¤ক্সাদকসহ ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পটুয়াখালীঃ বিএনপি নেতা বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম শরীফের বাসায় পুলিশ তল-াসীর নামে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রীসহ কন্যা ও শিশুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

অবরোধ পালনকালে পুলিশের আক্রমণে জেলা বিএনপির সাধারণ স¤ক্সাদক এম এ রব মিয়া, সহ-সভাপতি পান্না মিয়া, সাংগঠনিক স¤ক্সাদক মজিবুর রহমান তোতন, মহিলা দল নেত্রী জেসমিন জাফরসহ ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয় এবং শ্রমিক দল নেতা আবদুল হক, স্বেচছাসেবক দল নেতা মুসাসহ ৪ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়।

সিলেট ঃ অবরোধ পালনকালে পুলিশ গুলি চালালে দক্ষিণ সুমরা থানা বিএনপির সাধারণ স¤ক্সাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা শাহীন, রাহাতসহ ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাÍক ভাবে আহত হয়।

ঠাকুরগাঁওঃ অবরোধ পালনকালে পুলিশের আক্রমণ চালিয়ে ৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।

পঞ্চগড়ঃ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক স¤ক্সাদক মানিকসহ ৪ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ১১ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।

লালমনিরহাটঃ অবরোধ পালকালে বিজিবি-পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

রাজশাহীঃ বিএনপি নেতা আবদুল মতিন, বেলাল আহমেদ, ইঞ্জিঃ শাকিল আহমেদ, যুবদল নেতা আখতার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাকিবসহ ২৭ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত এবং যুবদল নেতা খোরশেদ, রশিদ, স্বেচছাসেবক দলনেতা মাখন, আবুল জুনায়েদ, ছাত্রদল নেতা সুইট, রাসেল, অনিলসহ ১৯ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার।

নাটোরঃ বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিকীসহ ৬ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ছাত্রদল বাবুসহ ১৪ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।

যশোরঃ ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সাধারণ স¤ক্সাদক মর্তুজা এলাহী টিপু, সাংগঠনিক স¤ক্সাদক খোরদেশ আলমসহ ১৬ জনের অধিক নেতাকমী আহত।

ঝিনাইদহ ঃ বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম রহুল, লাল্টু, ছাত্রদল নেতা টিপু সুলতান, সোহাগ, মাসুদসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।

গাজীপুরঃ ছাত্রদল নেতা রাসেল সরকার, মারজু পিন বেপারী, সুমন বেপারী, রুহুল আমিন, সাইফুল ইসলামসহ ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ১৮ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।

ফরিদপুরঃ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ স¤ক্সাদক রউফ উন নবী, স্বেচছাসেবক দল নেতা জুলফিকার হোসেন জুয়েল, ছাত্রদল নেতা তানজিবুল হাসান কায়েসসহ ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়া বিএনপি নেতাদের বাড়ীতে বাড়ীতে র‌্যাব-পুলিশ তল-াসীর নামে ভাংচুর চালায়। নারায়ণগঞ্জঃ আড়াই হাজার থানা যুবদল নেতা অনিক, শাহিনসহ ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে এবং যুবদল নেতা সবুজ, শামীম, ইমনসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

কিশোরগঞ্জঃ জেলা বিএনপির নেতা ফারুক আহমেদ, যুবদল নেতা রুবেল, ছাত্রদল নেতা আলামিন, ওমর ফারুকসহ ১২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ আহত করে। এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম স¤ক্সাদক খালেদ সাইফুল-াহ সোহেল, বিএনপি নেতা শহীদ চেয়ারম্যান, সিরাজ চেয়ারম্যান, আনার চেয়ারম্যান, জাহিদ মেম্বার, ছাত্রদল নেতা সুমনসহ ৪০০ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক হয়রানিম–লক মামলা দায়ের করা হয়।

শেরপুর ঃ বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন সানু, শ্রমিক দল নেতা মোশাররফ হোসেন, যুবদল নেতা ইদ্রিস আলী, ছাত্রদল নেতা রহিমসহ ১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৮ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে। এছাড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আশীষসহ ৭০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানিম–লক মামলা দায়ের করে।

ময়মনসিংহঃ ভালুকা উপজেলায় বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, সবুজ মিয়া, আমিরুল, মি›ট্টু, কামাল, টাকু মিয়া, শামীম, দুলাল, শ্রমিক দল নেতা বাবুল মিয়াসহ ১৪ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুদ্দিন বাচচুসহ ৩০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ হয়রানিম–লক মামলা দায়ের করেছে।

জেলা যুবদলের সাধারণ স¤ক্সাদক খন্দকার মাসুদ, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলাম, কোতয়ালী থানা যুগ্ম আহবায়ক সবুজসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীর নামে দ্র্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে।

বগুড়া ঃ পৌর যুবদল সভাপতি মাসুদসহ ৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৬ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।

বাগেরহাট ঃ বিএনপি নেতা মোজাহার হোসেন, ছাত্রদল নেতা হাসনাতকে ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে।

মানিকগঞ্জঃ বিএনপি‘র ২০০ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা ঃ ড্যামুডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম তুনুসহ ৪ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

বরিশাল উত্তরঃ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সেলিম সরদার, ডাঃ আবদুর রহিম, আলাল মেম্বার, ছাত্রদল নেতা সাহাদৎ হোসেন, শহিদুজ্জামান রনি, মোঃ ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, মিজানুর রহমানসহ ১৪ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বিএনপি নেতা ইশরাত হোসেন কচি, যুবদল নেতা জাহিদ শিকদার, আওলাদ হোসেন, মোশারফ হোসেন, ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান শিমুলসহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।

বরিশাল মহানগরঃ মহানগর বিএনপি‘র সহ-সভাপতি মনিরুল আহসান মনির, বিএনপি নেতা বাবুল তালুকদার, বাদশা মিয়াসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৮ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ আহত করে।

বরিশাল দক্ষিণঃ বিএনপি নেতা শাহ আলম, ছাত্রদল নেতা মামুনসহ ৬ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ৯ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।

ঢাকা জেলাঃ সাভারে স্বেচছাসেবক দল নেতা জীবন, রানাসহ ৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে। এছাড়া ৪০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে সাভার, ধামরাই থানায় পুলিশ হয়রানিম–লক মামলা দায়ের করে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

আওয়ামী সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭১ ঘন্টা অবরোধের আজ তৃতীয় দিনে অত্যাচারী, জুলুমবাজ, রক্ত পিপাষু আওয়ামী সরকারের গুন্ডা বাহিনী ও বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ কর্তৃক বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যা, গ্রেফতার, হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচিছ এবং ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার প–র্বক নিঃশর্ত মুওি“র জোর দাবি জানাচ্ছি।

আজ অবরোধ পালনকালে নিহত – যশোরে জামায়াত নেতা আবদুল হাই সিদ্দিক বুলবুলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক সšপ্ত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আজকের অবরোধে গুলিবিদ্ধ হয়ে যে সকল নেতাকর্মী আহত হয়েছেন তাদের সু-চিকিৎসা ও আশু সুস্থতা কামনা করছি।

সরকারের শত জুলুম নির্যাতনের পরও ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭১ ঘন্টা অবরোধে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহন করে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আšরিক শুভেচছা ও অভিনন্দন জানাই।

একই সাথে অবরোধে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন ও ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ভাইবোনদের জানাই আšরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এছাড়া ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তাদের জানাই আšরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

বিএনপিসহ ১৮ দল আহুত ৭১ ঘন্টা অবরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ পর্যš ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নিহত-১ জন নেতাকর্মী

গ্রেফতার ঃ ৩৫০ জনের অধিক নেতা কর্মী

আহত ঃ ৯০০ জনের অধিক নেতা কর্মী।

মামলায় আসামী করা হয়েছে- ৬ হাজারের অধিক নেতাকর্মী।

ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রদান করা হয়েছে ১৪ জন নেতাকর্মীকে

গত ২৫ নভেম্বর থেকে আজ অবধি ঢাকা মহানগরী সহ সারাদেশে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নিহত- ৯ জন নেতাকর্মী।

গ্রেফতার- ১২০০ জনের অধিক নেতাকর্মী

আহত – ৩২০০ জনের অধিক নেতাকর্মী

মামলায় আসামী করা হয়েছে- ১৬ হাজারের অধিক নেতাকর্মী

ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রদান করা হয়েছে ২২ জন.

এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি।