বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
মানবাধিকার মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার। মানবতার পরিপূর্ণ বিকাশে মানবাধিকারের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের জনগণের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। বর্তমান সরকারও মানবাধিকার রক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের দেশের জনগণ মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় বিধায় তারা নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়। আমি আশা করব দেশের মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনসমূহ মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদ্যাপনের সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে। তাদের এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড আজও থেমে নেই।
২০০১ সালের নির্বাচোনোত্তর সময়ে চার দলীয় জোট সন্ত্রাস, হত্যা, নির্যাতন, চক্ষু উৎপাটন, মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়াসহ দেশব্যাপী ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যা মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করেছিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করে। সাধারণ মানুষের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। গত পাঁচ বছরে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। জনগণ এখন এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল ভোগ করছেন।
আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। ’৭১এর য্দ্ধুাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় প্রদান চলছে।
আসুন, দলমতনির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখি।
আমি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী