“নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি ঘোষিত তফশীল স্থগিত করুন”: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি

ঢাকা, ডিসেম্বর ০১, প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের পূনর্গঠিত সরকার সম্পূর্ন বেআইনী ও অসাংবিধানিক ভাবে সরকার পরিচালনা করছে। এই সরকারের রাষ্ট্র শাসনের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। সকল আইন ভংগ করে তথাকথিত তফশীল ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীবর্গ সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে চলছে। নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। চুক্তি স্বাক্ষর করছে।

নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের গণ দাবীকে উপেক্ষা করে বশংবদ অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করে সমস্ত জাতিকে এক চরম রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত করেছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমগ্র জাতি যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছে, অকুতোভয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছে। গ্রামীন জনপদ থেকে শুরু করে শহরের রাজপথ গণতন্ত্রের অধিকার ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য দূর্বার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছে তখন সরকার জনগণের এই ন্যায় সংগত আন্দোলনকে দমন করবার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা প্রদান ও গ্রেফতার করছে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব জনাব রুহুল কবীর রিজভীসহ তিন জনকে কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভাংচুর করে বর্বরোচিত আচরনের মধ্য দিয়ে মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে। নেতৃবর্গের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশী ও আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে, বাংলাদেশকে চরম অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তায় অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে।

বিরোধী দলকে স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ। এই রকম চরম অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতিতে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার হীন উদ্দেশ্যে দেশে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি ঘোষিত তফশীল স্থগিত করুন এবং সকল দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ এক তরফা পাতানো নির্বাচন মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তারা আদায় করবে। ইনশাল্লাহ্। “