রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ

ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০১৪: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্্য আশীর্বাদস্বরূপ । বাঙালি জাতির প্রায় ৬০ বছরের লালিত এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নবপ্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে । নবপ্রজন্মের পারমাণবিক শক্তি সর্ম্পকিত জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ফটো প্রদর্শনী ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে ।

আজ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক ’ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্বালান্’ি শীর্ষক ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ কথা বলেন । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম(জঙঝঅঞঙগ) যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে ।

প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আরো বলেন, জাপানের ফুকুশিমায় হতাহতের ঘটনা পারমাণবিক কারণে নয়,বরং তা সুনামিজনিত।তবু আমরা ফুকুশিমার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক স্তরের পরিবর্তে দু’স্তরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়েছি ।ফলে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ,বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলায়েভ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক আরশাদ হোসেন,এনডিসি স্বাগত বক্তব্য রাখেন ।

রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যার সমাধান করবে । এ প্রদর্শনীটি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে পরমাণু শক্তি বিরোধী প্রচারণা লাঘবে সাহায্য করবে ।

ফটো প্রদর্শনীতে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পারমাণবিক শক্তি প্রকল্পের নির্মাণ ও পরিচালন,পরিবেশের ওপর পারমাণবিক শক্তির ইতিবাচক প্রভাব, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত মানুষ, পারমাণবিক জ্বালানির আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ,রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে রুশ-বাংলাদেশ সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ক ৬০টির অধিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে ।

ফটো প্রদর্শনীটি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে । প্রেস বিজ্ঞপ্তি