দেশে সাত শতাংশ শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বহন করছে

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, (এনএসনিউজওয়্যার) — শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম আয়োজিত রক্তদাতা সন্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে সাত শতাংশ শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বহন করছে এবং প্রায় তিন লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্যে যারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং রক্তই যাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।

সন্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট্ট মেয়ে লামিয়া নিয়তির কী নিষ্ঠুর স্বীকার, প্রতি মাসে যাকে তিন ব্যাগ রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। তিনি কোয়ান্টামকে ধন্যবাদ জানান যে, লামিয়ার মত ছেলেমেয়েদের নিয়মিত রক্তের ব্যবস্থা করে তাদের স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে কোয়ান্টাম ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

২৫ বার স্বেচ্ছায় রক্তদাতা ফারাহ রাবি বলেন, আমি আগে অনিয়মিতভাবে রক্ত দিতাম। একদিন ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিতে যেয়ে দেখি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা বসে আছে রক্তের আশায়। আমরা রক্ত দিলেই তারা বাঁচতে পারবে এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এরপর থেকে আমি নিয়মিত রক্ত দিচ্ছি এবং সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কোয়ান্টাম ল্যাব থেকে নিয়মিত রক্তগ্রহণকারী থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ১১ বছরের লামিয়া বলেন, তার জীবন সচল আছে রক্তদাতাদের দানে। তিনি সবাইকে রক্তদানে বিরত না হতে অনুরোধ করেন। তিনি সবার দোয়া চেয়ে বলেন, বড় হয়ে তিনি ডাক্তার হয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সেবা করতে চান। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোয়ান্টাম রক্তদান কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের অনারারি পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস। তিনি বলেন মাত্র দুই লক্ষ নিয়মিত রক্তদাতা তৈরি করতে পারলে দেশে বছরে ছয়লক্ষ ব্যাগ রক্তের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে যারা কমপক্ষে ১০ বার রক্ত দিয়েছেন এমন ২৩৮ জন রক্তদাতাকে সিলভার মেডেল এবং ২৫ বার রক্ত দিয়েছেন এমন ৪৮ জনকে গোল্ডেন ক্রেস্টসহ

সার্টিফিকেট ও বিশেষ আইডি কার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক সমন্বয় মিসেস সুরাইয়া রহমান। বিজ্ঞপ্তি।